নিউজ ডেস্ক -

আওয়ামী লীগ আমলে প্রথম গুমের শিকার বিএনপি নেতা কাউন্সিলর চৌধুরী আলমের গুমের ঘটনার বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার। সোমবার (১০ মার্চ) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দেয়া হয়।

এ ঘটনায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এনটিএমসির জিয়াউল আহসান সহ ১৮ জনকে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৫ জুন রাজধানীর ইন্দিরা রোডের কাছ থেকে চৌধুরী আলমকে তার গাড়ি থেকে বের করে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। ২০১০ সালের জুলাই মাসে হাই কোর্টের একটি রিট আবেদন করা হলে আদালত পুলিশ ও সরকারকে দ্রুত চৌধুরী আলমকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে আদালতের সেই নির্দেশ আর কার্যকর হয়নি। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর চৌধুরী আলম গুম হওয়ার পর জিডি করলেও তা আর কার্যকর হয়নি সেসময়।

চৌধুরী আলম বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। এরপর তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়।

পরিবারের অভিযোগ, ২০১০ সালের ২০ জুন গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে র‍্যাব পরিচয়ে কয়েকজন চৌধুরী আলমের ওপর হামলা করে। পরে স্থানীয়রা র‍্যাব-১-এর বিল্লাল নামে এক সদস্যকে ধরে গুলশান থানায় সোপর্দ করে। সেদিন রাতেই র‍্যাব সদর দফতর বিল্লালকে তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়। এরপর ২৫ জুন রাতে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে এসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে আলমকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তখন তার গাড়িচালককে মারধর করে গাড়িও নিয়ে যায় তারা।