সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম পিপিএম-সেবা, বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা কোরআনের আলো বুকে ধারণ করে সমাজে নৈতিকতা ও মানবতার শিক্ষা ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের সঠিক পরিচর্যা ও সহায়তা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সমাজে যদি কোরআনের শিক্ষার চর্চা বৃদ্ধি পায়, তাহলে শান্তি ও সৌহার্দ্য আরও সুসংহত হবে। তিনি আরো বলেন, হাফিজ শিক্ষার্থীরা শুধু ধর্মীয় শিক্ষার বাহক নয়, বরং তারা নৈতিকতা, আদর্শ ও মানবতার প্রতীক। তারা পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে ইসলামের সুমহান বাণী প্রচার করছে, যা আমাদের সমাজের জন্য আশীর্বাদ। তিনি আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সিলেট সোসাইটি মেহমান থানার এই আয়োজন সত্যিই অনুকরণীয়। এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ যেন আরও বৃদ্ধি পায়, সেজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার (রাত আড়াইটায়) সিলেট সোসাইটির মেহমান খানার পক্ষ হতে সিলেট নগরীর সোনারপাড়াস্থ জামেয়া দারুল ফালাহ মাদরাসায় কোরআনের পাখি হাফিজ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে সেহরী খাবার আয়োজন উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

সিলেট সোসাইটির উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও মেহমান খানার চেয়ারম্যান জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম অচিনপুরীর সভাপতিত্বে ও সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল করিম শিকদার এবং স্টুডেন্ট ইউনিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ তারেক জাহান চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ওয়েস্ট পয়েন্ট কলেজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান এডভোকেট মাওলানা রফিক আহমদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়াউল হক, সোসাইটির উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য জকিগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের সাবেক টিএইচও ডা. সিরাজুল ইসলাম খান, সোসাইটির উপদেষ্টা ও মেহমান খানার সদস্য সচিব সাংবাদিক রোটারিয়ান শাহজাহান সেলিম বুলবুল পিএইচএফ, সোসাইটির উপদেষ্টা এডভোকেট এম এ সালেহ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম ফেনু, রোটারি ক্লাব অব সিলেট কীন ব্রীজ এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ কয়েস আহমদ, চার্টার্ড প্রেসিডেন্ট এম এ ওয়াদুদ আল মামুন, মহিসুন্নাহ মাদ্রাসা গোয়াইনঘাট এর মুহতামিম মাওলানা শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ শাজাহান চৌধুরী।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রোটারিয়ান সেলিম আহমদ, রোটারিয়ান, মো. আব্দুল্লাহ, সমাজসেবক লিমন আহমদ, স্টুডেন্ট ইউনিটের সভাপতি জুলকার নাইন সাইরাস, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাওহীদ জাহান চৌধুরী।

বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা আরও বৃদ্ধি করা দরকার। আজকের হাফিজ শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ইসলামিক সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাদের পাশে থাকা, তাদের সহায়তা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। এই হাফিজ ছাত্ররাই একদিন ইসলামের সুশিক্ষা ও নৈতিকতার ভিত্তিতে একটি সুন্দর সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে।

তাদের এই পথচলায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে, যেন তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আশাকরি, ভবিষ্যতেও এমন কল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

আলোচনা শেষে হাফিজ শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আখালিয়ার ওয়ালিউল্লাহ মাদ্রাসার মুহতামিম হাফিজ মাওলানা রইছ উদ্দিন।