অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ সিটিজেন সলিডারিটি মুভমেন্ট ও বাংলাদেশ স্টুডেন্ট ইউনিটির পৃষ্টপোষক এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বলেছেন, ফিলিস্তিনে নারকীয় গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। সেখানকার হাজার হাজার নিরপরাধ শিশু, নারী ও পুরুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এই গণহত্যার প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমরা বাংলাদেশ থেকে সংহতি জানাতে রাজপথে নেমেছি। গাজা ও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা আজ মানবতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আল্লাহ বলেছেন ওই সব জালেমদেরকে শিগগরই দলিত করা হবে এবং জাহান্নামে প্রেরিত করা হবে, জাহন্নাম নিশ্চই অতি ভয়ানক জায়গা। আমরা ইসলামে বিশ্বাস করি কিন্তু আমাদের কাজ-কর্মে তা প্রমাণ হয় না। আমরা খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবো ইসারাইল নামক এই দানবীয় শক্তি যেন নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং সমস্ত বিশ্বের মজলুম মানুষ যেন মুক্তি পায় ও ফিলিস্তিনে নিহত সকল শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান বলেন, আমরা আধুনিক বিশ্বে বসবাস করছি। শিশু, নারী ও নিরীহ মানুষদের ওপর ইসরায়েলি হামলা আজ মানবতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে অথচ আজ ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে তা চরম বর্বরতা ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। কিন্তু বিশ্বের মোড়ল দেশগুলো চুপ। কোথায় গেল সেই মানবতা, কোথায় গেল নৈতিকতা? এভাবে চলতে পারে না। অনতিবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। সেখানকার নাগরিকদের স্বাধীনভাবে বাঁচতে দিতে হবে।
তিনি সোমবার (৭ এপ্রিল) বাদ জোহর সিলেট নগরীর ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ সিটিজেন সলিডারিটি মুভেমেন্ট আয়োজিত গাজা ও ফিলিস্তিনের মজলুম মানুষের জন্য গণ-প্রার্থনা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বক্তব্য শেষে গাজা ও ফিলিস্তিনের নিরীহ মজলুম মানুষদের জন্য মোজানাত পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান।
এসময় সংগঠনের কয়েক শতাধিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা গণ-প্রার্থনা কর্মসূচিতে ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বয়কট ইসরায়েল’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত-ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শাহজালালের হাতিরয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘ইসরায়েল উইল বি সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ স্লোগান দেওয়া হয়।
গণ-প্রার্থনা শেষে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ সিটিজেন সলিডারিটি মুভমেন্ট’র নেতাকর্মীরা নগরীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কোর্ট পয়েন্টে এসে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।